বরিশালে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ ঘিরে মিছিল-শ্লোগানে মুখর বঙ্গবন্ধু উদ্যান। শনিবার (৫ নভেম্বর) ভোরের আলো ফুটতেই মিছিল-শ্লোগানে মুখরিত বরিশাল নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যান। দুই দিন ধরে মাঠে অবস্থান নিয়ে ঝিমিয়ে পড়া নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করতে খণ্ড খণ্ড মিছিল করছে বিভিন্ন জেলা, উপজেলা এবং ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
সকাল ৭টার পর থেকেই একের পর এক মিছিল আসছে বঙ্গবন্ধু উদ্যানে।
মাঠের বাইরে অবস্থানকারী নেতাকর্মীরাও দলে দলে মিছিল নিয়ে আসছেন সমাবেশস্থলে। মিছিল থেকে সরকারবিরোধী নানা শ্লোগান দেন তারা।
কেউ হেঁটে, কেউ ভ্যানে চড়ে, কেউ রিকশায় চড়ে আবার কেউ মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাসে করে সমাবেশস্থলে যাচ্ছেন। তবে সমাবেশস্থলে যাওয়া মিছিল, মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাস বহরে নেতাকর্মীদের হাতে কাঠ ও বাঁশের লাঠির উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। এছাড়া বিভিন্ন মিছিলে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকায় ব্যবহার করা হয়েছে লম্বা লাঠি ও বাঁশের কঞ্চি।
এদিকে জিলা স্কুলের মোড়, চাঁদমারি মোড়, ক্লাব রোডের মোড় থেকে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। এসব জায়গা থেকে মানুষ হেঁটে সমাবেশস্থলে যাচ্ছেন।
কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন বলেন, এরইমধ্যে হাজার হাজার নেতাকর্মী সমাবেশস্থলে অবস্থান নিয়েছেন। সরকারের কোনো বাধাই কাজে আসেনি। সাধারণ মানুষ ও নেতাকর্মীরা কেউ নৌপথে, কেউ ট্রলারে, কেউ মাছ ধরা নৌকায় আর সড়ক পথে, কেউ হেঁটে, আবার কেউ ভ্যান, রিকশা, মোটরসাইকেল, বাইসাইকেলে করে সমাবেশস্থলে আসছে।
আজকের গণসমাবেশ থেকে দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ন্ত্রণ, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন, ইভিএম বাতিল ও বেগম জিয়ার মুক্তিসহ সরকার পতনের এক দফা কর্মসূচি প্রত্যাশা করেন তৃণমূল নেতাকর্মীরা।
আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশের এক সপ্তাহ বা ১০ দিন আগে অবস্থান নিয়ে সরকারবিরোধী আন্দোলন জোরদার করার কথা বলেন তারা। বরিশালের সমাবেশে আসতে পথে পথে বাধা-হামলার শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।